বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান স্বৈরাচার আন্দোলনে শহীদ সেলিমের ভাই ইব্রাহিম ফারুক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের সদস্য বাউফল প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী বাউফল পৌর শহরে বিক্ষোভ ও ঝাঁড়– মিছিলসহ টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ করে রাখেন। বাউফলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারী রবিবার সন্ধা সারে সাত টার দিকে বাউফল পাবলিক মাঠ সংলগ্ন যাত্রী ছাউনীতে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নেতাকর্মীদের নিয়ে চা পান করছিল। এসময় বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল সমর্থিত নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে উপজেলার দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ মিছিল থেকে লোহার রড, জিআই পাইপসহ আগ্নে অস্ত্র নিয়ে চা পান রত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ইব্রাহিম ফারুক ও হারুন অর রশিদ গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। হামলা থামাতে গিয়ে আরো ৮/১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। ইব্রাহিম ফারুকের বাম চোখ ও মাথার জখম গুরুতর হলে দ্রুত তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকায় নিয়ে যায়। অন্যান্যদের বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এঘটনায় রবিবার রাতেই হারুন অর রশিদ বাদি হয়ে ৩৪ জনকে আসামি করে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ রেজা মোল্লা(৩০), হেমায়েত উদ্দিন(৪৫) এবং হিরু মোল্লা(২৫) নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বেলা সারে ১০ টা থেকে দুপুর সারে ১২ টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মীরা বাউফল পৌর শহরে বিক্ষোভ ও ঝাঁড়– মিছিল শেষে বাউফল থানা সংলগ্ন মাদ্রাসার সামনে বাউফল-বরিশাল মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এসময় যান চলাচল এবং দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে ইলিশ চত্ত্বরে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত হয়ে সকলকে ধর্য্যধারণসহ অবরোধ উঠিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেন। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারও অবরোধ উঠিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে রাস্তার অবরোধ উঠিয়ে দেয়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইতিমধ্যেই তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পৌর শহরে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আপনার মতামত এখানে লিখুন