পূর্ব সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বনরক্ষীদের ঘুষ না দেয়ায় নিরীহ বড়শি জেলেকে হরিণ শিকারী সাজিয়ে আদালতে চালান দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।বনরক্ষীদের হাতে আটক জেলে আলম শেখের বরাত দিয়ে তার ছোট ভাই দুলাল শেখ সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, তার বড় ভাই আলম শেখ দীর্ঘ বিশ বছর যাবৎ বনবিভাগের পাশ নিয়ে একা সুন্দরবনের নদী খালে ছোট নৌকায় করে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে ।
গত ১৫ দিন পূর্বে তার ভাই দুবলার চর এলাকায় মাছ ধরে গোন শেষে বাড়ীতে আসে। পুনরায় গোন শুরুতে মাছ ধরার জন্য ৯ জানুয়ারী সন্ধ্যায় চরদুয়ানী থেকে নৌকায় বরফ ভরে পাশ করার জন্য দুবলা টহল ফাঁড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ১১ জানুয়ারী সোমবার কটকার মোহনায় কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার আবুল কালাম সরকার তার ভাইকে নৌকা সহ আটক করে ২০ হাজার টাকা দাবী করে। তার ভাই অতিশয় গরীব জেলে বন কর্মকর্তার দাবীকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে কটকা অফিসে মজুদ থাকা হরিণধরা নাইলনের ফাঁদ দিয়ে তার ভাইকে হরিণ শিকারী সাজিয়ে ১২ জানুয়ারী বাগেরহাট আদালতে চালান দিয়েছে।
জেলে পল্লী দুবলা ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায় মুঠোফোনে জানান, শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র আলম শেখ গত ১৭ ডিসেম্বর দুবলা ফরেষ্ট অফিস থেকে মাছ ধরার পাশ নিয়ে মাছ ধরে গোন শেষে ২৩ ডিসেম্বর পাশ সারেন্ডার ( অফিসে জমা) করে বাড়ী চলে যায়।
এ ব্যপারে কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার আবুল কালাম সরকারের বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।